• 25 February, 2024
  • 0 Comment(s)
  • 84 view(s)
  • APDR

২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় মুক্তচিন্তা ও গণতান্ত্রিক পরিসর বৃদ্ধির দাবিতে গণ-কনভেনশন



'আমাদের বইমেলা, আমাদেরই থাকবে'

কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় লিটল ম্যাগাজিন, ছোট প্রকাশক এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত সংগঠনগুলোর পরিসর দ্রুত কমছে। ২০২৪ এর বইমেলায় অস্বাভাবিকভাবে অনেক অধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে। 'মন ফকিরা'র স্টলে প্যালেস্টাইন সম্পর্কিত ছবি থাকায় হিন্দুত্ববাদীরা হামলা চালালেও প্রশাসন সেই ঘটনা নিয়ে চুপ থাকে। পথ শিশুদের সংগঠন শিশুদের লেখা নিয়ে প্রকাশিত পত্রিকা প্রচার করায় তাদের মেলা প্রাঙ্গণ থেকে বাইরে বের করে দেওয়া হয় । বন্দীমুক্তির দাবিতে আওয়াজ তোলা ছাত্র সংগঠন ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর কর্মীদের হেনস্থা ও মারধোর করে, গ্রেপ্তার করে,  এবং কয়েকজনকে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতার করে কয়েকদিন জেলবন্দি করে রাখে। লিটিল ম্যাগাজিনে রাষ্ট্রের নজরদারি বাড়াতে সিসিটিভি লাগানো, পোস্টার হাতে ঢুকতে বাধা দেওয়া - এই সমস্ত ঘটনার প্রতিবাদে  আজ ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, কলকাতার ত্রিপুরা হিতসাধনী সভা গৃহে একটি কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয় যার মূল সুর ছিল 'আমাদের বইমেলা, আমাদেরই থাকবে'।
আগামী দিনে যাতে বইমেলায় গণতান্ত্রিক পরিসর বৃদ্ধি করা যায়, তার জন্য বিভিন্ন ছোট  প্রকাশনা সংস্থা, ছোট  পত্রপত্রিকা গোষ্ঠী, ছাত্র সংগঠন ও গণ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের একজোট করার প্রস্তাব আসে। আগামী বইমেলায় যাতে মুক্তকণ্ঠে আওয়াজ তোলা যায় তার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে এবং একটি মঞ্চ তৈরিরও প্রস্তাব আসে। 
কনভেনশনে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়, আগামী ১২ মার্চ কলেজ স্ট্রিট কফি হাউস থেকে মিছিল সহকারে গিল্ড অফিসে  গিয়ে দাবীপত্র পেশ করা হবে।

এপিডিআর এই কনভেশনের অন্যতম আহ্বায়ক ছিল।

...........................................................................................................................................

বইমেলা বিষয়ক কনভেনশনের প্রস্তাবনা

কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা যে আর আমাদের নয় -- এটাই প্রমাণ করতে চাইছে  বইমেলা কর্তৃপক্ষ, মানে 'পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ড', পারলে প্রতি স্কোয়ার ফুটেই বইয়ের স্টল, খাবার, চায়ের স্টল, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জগঝম্প, বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, পুলিশ ক্যাম্প, সরকারি মুখপত্রের লন-সহ আলিশান মণ্ডপ— এক কথায় নিবিড় বাণিজ্যে মুড়ে ফেলে। তা ফেলেছেও। 
কথা উঠছে, বইমেলা একদিকে যেমন হয়ে উঠেছে গিল্ডের বকলমে কতিপয় বই ব্যবসায়ীর ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক ফায়দার শ্রীক্ষেত্র, অন্যদিকে সরকার ও মুখ্যমন্ত্রীর আত্মপ্রচারের মেলা। শুধু 'পশ্চিমবঙ্গ মণ্ডপ'টির বাইরে দাঁড়ালেই তা বোঝা যায়। বিশালকায় মণ্ডপটির তিন দেওয়াল জুড়ে শুধু পশ্চিমবঙ্গ সরকারের 'উন্নয়নী' বিজ্ঞাপন দেখা যায় ফি বছর। এবার আবার তা দৃশ্য-শ্রাব্য। এবং ক্ষণে ক্ষণে সেখানে ভেসে ওঠে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ। 
এবং এই সরকারের আমলে বইমেলায় আর এক প্রকাণ্ড উপস্থিতি পুলিশ বিভাগের। নানা কিসিমের, নানা ছাঁদের পুরুষ ও মহিলা পুরো পুলিশ, সিকি পুলিশ  -- মানে ওই সিভিক ভলান্টিয়ার, বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী, মায় বিশেষ মহিলা পুলিশ বাহিনী 'উইনার্স'। এক কথায় 'পুলিশিরাজ'। এই সরকারি 'বিভীষিকা-বিভাগ'-এর স্টলে এবার প্রদর্শিত হল— নানা জাতের অস্ত্রের সম্ভার। একেবারেই পুলিশোচিত।
অথচ, কলকাতা বইমেলা সরকারের নয়, গিল্ড তার আয়োজক ও ব্যবস্থাপক। কিন্তু, একচেটিয়া মালিক নয়। বইমেলা প্রকাশক, লেখক, পাঠক সকলের। বলা হয়, বইমেলা ধার্মিক, সামাজিক, রাজনৈতিক মতামত, ভাষা নির্বিশেষে আপামর বাঙালির, আপামর বাঙলার। বইমেলা বাঙালির এক ও অদ্বিতীয় ধর্মনিরপেক্ষ উৎসব। বইমেলা এক মুক্তচিন্তা ও চিন্তার মুক্তি খুঁজে পাওয়া, খুঁজে নেওয়ার চর্চাক্ষেত্র। মুক্ত পরিসর, মুক্তির পরিসর। বইমেলা মানে নানা স্বরের, উঁচু-নিচু নানা কণ্ঠের ভিন্ন ভিন্ন কোরাস বা একক শেকল ছেঁড়ার গান। বইমেলা মানে বিদ্রোহ, বিক্ষোভের আঁতুড়ঘর। প্রেম ও ভালোবাসার তীর্থক্ষেত্র। প্রাণের উৎসব। যুবক-যুবতীর গিটারস্পর্ধা, শরীরভরা গান। বাড়ি থেকে আনা কিংবা কেনা খাবার মুখে দিতে দিতে বই নিয়ে তুমুল আড্ডা। বন্ধু-বান্ধবদের চাঁদায় কাঠ বেকারের এক ফর্মা কবিতার বই ঘুরে ঘুরে বিক্রি করার। যেভাবে একসময় বিক্রি হত সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়ের 'মিনিবুক'। যেভাবে 'সাদা রুনু, কালো রুনু' হাতে হাতে ফেরি হয়েছে। যেভাবে, কানোরিয়া জুটমিল আন্দোলনের রেশ পৌঁছেছে বইমেলায়। নন্দীগ্রাম-সিঙ্গুরও। বইমেলা সেই অমত, দ্বিমত, সহমত, ভিন্নমত, বহুমতের দ্বান্দ্বিক পাঠশালা। এমনটাই দেখে-শুনে-বুঝে এসেছে বাঙালি, তার দীর্ঘকালের বইমেলা উদযাপনে। দীর্ঘ অভিজ্ঞতায়। কেননা বই, এই সমস্ত কথা যা বলা হল, তা ধারণ করে। পড়ুয়াকে তর্ক করতে, প্রশ্ন করতে শেখায়। তাকে বিদ্রোহী, প্রেমিক কিংবা উড়নচণ্ডী বা বাউন্ডুলেও করে তুলতে পারে বই। বই পড়ুয়াকে থিতু করতে পারে, ভবঘুরেও। আর এই সবেরই উস্কানি আছে বইয়ের পাতায় পাতায়। লেখক-প্রকাশক-পড়ুয়া তাই এক বিস্ফোরক যৌগ। দেশে দেশে তাই বই নিষিদ্ধ হয়, পোড়ানো হয়, এমনকি পাঠ্যপুস্তক থেকেও শাসকের মতাদর্শের পক্ষে বিপজ্জনক অংশ হয় হাপিশ করে দেওয়া হয়, না হয় শাসকের পছন্দের মিথ্যা যুক্ত করা হয়। 
বিগত একদশকে বইমেলা ক্রমে ক্রমে তার এই চরিত্র হারিয়ে ফেলছে। রাজ্য সরকারের কল্যাণে বইমেলা হয়ে উঠেছে "গিল্ডের দ্বারা, গিল্ডের জন্য, গিল্ডের" বইমেলা। এবং সরকারের। কলকাতা বইমেলা এখন এক আপাদমস্তক বাণিজ্যক্ষেত্র। মুক্তচিন্তা, মুক্ত পরিসরের কোনও ঠাঁই নেই সেখানে। গলা ছেড়ে গান গাইলে ধেয়ে আসে পুলিশ। শিশুরা গান গেয়ে, প্যালেস্তাইনের পোস্টার আর নিজেদের লেখা পুস্তিকা বিলি করলে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন, বেনিয়া প্রকাশক, গিল্ড ও পুলিশের ধমকানি, গলাধাক্কা নেমে আসে। এমনকি ওই 'বস্তি'র ছেলেমেয়েদের তাড়িয়ে দেওয়া হয় মেলা থেকে। প্রতিবাদে এবং রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তির দাবি নিয়ে ১০/১২টি ছাত্র-ছাত্রী, মানবাধিকার কর্মী মেলার এক কোণায় জড়ো হয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে গলা তুললে মহিলা-পুরুষ নির্বিশেষে পুলিশের মার, গ্রেফতার, জেল হেফাজত। এ নতুন নয়। গত কয়েক বছর ধরেই এমনটি ঘটেই চলছে। এমনকি কয়েক বছর আগে মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করায় এক নারী বিষয়ক পত্রিকার মুক্তমঞ্চে উদ্বোধনের অনুমতি বাতিল করা হয়। ২০১৯ সালে NRC-CAA-NPR এর বিরুদ্ধে প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার ধারক-বাহক বিভিন্ন সংগঠন এবং ব্যক্তিবর্গ শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের টুঁটি চিপে ধরতে পেছপা হয়নি মমতা ব্যানার্জীর পুলিশ (পড়ুন গুন্ডা) বাহিনী। আরএসএস-বিজেপির কর্মীদের সেই শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের উপর হামলা চালানোর ঘটনা কে সম্পূর্ণ এড়িয়ে গিয়ে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের উপর নেমে আসে বিধাননগর পুলিশের হামলাসহ রকমারি মামলা-মোকদ্দমা। এবারের ঘটনায়ও শিশুদের উপর এই যৌথ অত্যাচার, তাদের নাকাল করা, পোস্টার ছেঁড়ানো, ভয় ও সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করা আসলে এক ফৌজদারি অপরাধ। অথচ শিশু সুরক্ষা কমিশন চুপ।এবারের বইমেলায় প্যালেস্টাইন নিয়ে প্রচার হোক,বা বন্দীমুক্তির দাবীতে পোস্টার হোক,সবক্ষেত্রেই আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছে রাজ্যসরকারের অধীনে বিধাননগর পুলিশ।রাষ্ট্র তার স্বভাব সুলভ ভঙ্গিতে যেমন গণতান্ত্রিক পরিসরের উপর আক্রমণ নামিয়ে এনেছে,গিল্ড তাকে মদত দিয়েছে ব্যাবসায়িক স্বার্থে বা কোন এক অদৃশ্য বোঝাপড়ায়।ছাত্র এবং নাগরিক সমাজের শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ যখন প্রতিবাদ প্রদর্শন করতে গেছে শান্তিপূর্ণভাবে তাতেই খড়্গহস্ত হয়ে উঠেছে পুলিশ।প্রতিবাদীদের আ্যরেস্ট করে আবার তাদের নামেই মিথ্যা মামলা রুজু করা হয়েছে।দুই ছাত্রকে তিনদিন ধরে বিনা কারণে জেলে আটক রাখা হয়েছে।গত কয়েক বছর ধরে বইমেলার চরিত্র যেভাবে নষ্ট করা হচ্ছিল,এবার তার চূড়ান্ত রূপ দেখা গেল এইসমস্ত ঘটনাক্রমের মধ্যে দিয়ে।আমাদের ভয় প্রতিবাদ না হলে এই রূপ আরও ভয়ংকর আকার ধারণ করবে পরের বইমেলাগুলিতেই।এখানে গিল্ড এবং সরকার উভয়ই সমানভাবে দায়ী।যাদের প্রতিনিধি হয়ে উঠেছে কুখ্যাত বিধাননগর পুলিশ।

বইমেলায় গিল্ড এবং সরকারি আগ্রাসন কতটা সর্বগ্রাসী হয়ে উঠেছে -- তার জ্বলন্ত উদাহরণ বিগত ১১ বছরের বইমেলার উদ্বোধকের তালিকা। সেখানে প্রথম ও শেষ নামটি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অথচ, কখনোই এমনটা ছিল না। কোনও মুখ্যমন্ত্রী বা রাজনীতিক নন, চিরকাল কলকাতা বইমেলার উদ্বোধন করে এসেছেন, দেশ-বিদেশের, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিশিষ্ট পণ্ডিত,  বিজ্ঞানী, কবি, সাহিত্যিকরা... সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় (১৯৭৯), ভবতোষ দত্ত (১৯৮১), অমর্ত্য সেন (১৯৮২), মূলকরাজ আনন্দ (১৯৮৫), রাজা রামান্না (১৯৮৯), অসীমা চট্টোপাধায় (১৯৯১), মৃণাল সেন (১৯৯৪), ইউ আর অনন্তমূর্তি (১৯৯৫), তপন রায়চৌধুরী (১৯৯৭), জাঁক দেরিদা (১৯৯৮), শামসুর রহমান (২০০০), আনিসুজ্জামান (২০১৩)... এমনই কয়েকটি নাম। ২০১৪ থেকে তা অবর্তমান।

মেলায় প্রবেশ মূল্য না-থাকায় বিনোদন কর দিতে হয় না গিল্ডকে। অথচ, ফি-বছর লিটল ম্যাগাজিন থেকে বৃহৎ প্রকাশক... সবার কাছ থেকে ফুট মেপে টেবিল ও স্টলের ভাড়া নেওয়া হয়। প্রকাশক নয় এমন বাণিজ্যিক ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে ঠিক কোন নীতিতে বইমেলায় স্থান দেওয়া হয়, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা আবশ্যক। সরকার পুলিশি ব্যবস্থাপনা, দমকল, বর্জ্য নিষ্কাশন, পরিচ্ছন্নতা, জল, বিদ্যুতের জন্য যে অর্থ ব্যয় করে, পরিষেবা কর হিসেবে তার একাংশও কি বিধাননগর পুরসভার ঘরে যায়? এতো করদাতাদের দেয় অর্থ। যা খরচ করছে সরকার। তার হিসেব তো করদাতাদের দিতে হবে। গিল্ডও কেন-ই বা তাদের ২৮ কোটি টাকার বাণিজ্যের হিসাব দেবে না? আরও প্রশ্ন, বইমেলা থেকে গিল্ডের আয় কত? সে অর্থ কিসে খরচ হয়? যেহেতু, একটি লিটল ম্যাগাজিনও নির্দিষ্ট ভাড়ায় টেবিল পায়, তার এই প্রশ্ন করার এবং হিসাব বুঝে নেওয়ার অধিকার রয়েছে। 

এত কথা বলার কারণ এই যে, এমন আদ্যন্ত বাণিজ্যিক, মুক্তচিন্তা হরণকারী, মুক্ত পরিসরহীন দমবন্ধ করা পরিবেশে, বিভীষিকা বিভাগের দাপটভরা আবহ থেকে মুক্ত, স্বাধীন বইমেলাই আমাদের কাছে কাম্য। দেশজুড়ে যে আধিপত্যবাদের রমরমা, কলকাতা বইমেলাও সেই আধিপত্যবাদের শিকার বলে আমরা মনে করি। কলকাতা বইমেলার পরিচালকরাও যেন তেমনই শাসকের লোক হয়ে, শাসকের অঙ্গুলিহেলনে, শাসকের মতাদর্শ প্রচার ও প্রসারে ব্রতী হয়ে উঠেছেন। এমন 'পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ড' আমরা চাই না। আমরা জানি, সরকার কিংবা সংশ্লিষ্ট পুরসভার সহযোগিতা ছাড়া কোনও মেলা করাই সম্ভব নয়। আমরা সরকারের সহযোগিতা চাই, মাতব্বরি নয়। আমাদের যাবতীয় বোঝাপড়াটা হোক সরাসরি গিল্ডের সাথে, পুলিশের সাথে নয়। আমরা চাই না পুলিশের শাসানি আর ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতার ঘৃণার পরিবেশ।  আমরা চাই প্রতিবছর বইমেলা শুরু ও শেষ হোক আন্তর্জাতিক ক্যালেন্ডার অনুসারে, যেমন হওয়ার নিয়ম। আমরা চাই  বইমেলার উদ্বোধন করুন দেশ-বিদেশের প্রকৃত চিন্তাবিদরা... আমরা চাই চিন্তার মুক্ত পরিসর, মুক্ত পরিবেশ।

আমাদের দাবি -

১) বইমেলায় কারো মত প্রকাশের অধিকারে পুলিশি হস্তক্ষেপ করা চলবে না।

২) বইমেলায় বিভিন্ন প্রান্তে খালি জায়গা আরও অনেকটা বাড়াতে হবে।

৩) স্টল বা টেবিল না পাওয়া বা না নেওয়া লেখক-কবি, শিল্পী, ক্ষুদ্র প্রকাশকদের মেলায় ঘুরে ঘুরে নিজের বই/শিল্পকর্ম প্রচার করতে দিতে হবে।

৪)  ব্যাংক, বড় বড় ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানকে স্টল দেওয়া বন্ধ করতে হবে।

৫) মেলায় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলি ও সরকারি বড় বড় স্টলগুলির মাইক বাজানো, লটারি, কুইজ, অন্ত্যক্ষরী... ইত্যাদি বন্ধ করতে হবে।

৬) মুক্তমঞ্চগুলিতে রাখা বক্তব্যে/বই প্রকাশে খবরদারি/নজরদারি চলবে না।

৭) ছোট স্টলের ভাড়া অনেকটা কমাতে হবে।

৮) লিটিল ম্যাগাজিনের টেবিলের ভাড়া ১০০ টাকার মধ্যে রাখতে হবে।

৯) মেলার আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রকাশ্যে দিতে হবে। 

১০) এবারের বইমেলায় প্রতিবাদী ছাত্রদের বিরুদ্ধে সাজানো মামলা প্রত্যাহার করতে হবে এবং এ ব্যাপারে গিল্ডকে উদ্যোগী হতে হবে।

১১) স্টল বা টেবিল নেওয়ার জন্য মুচলেকা নেওয়ার বিধি বাতিল করতে হবে।


Eternal Vigilance is the Price of Liberty
All Rights Reserved APDR
About us | Contact Us